সুনামগঞ্জের ছাতক-মুক্তিরগাঁও-শিমুলতলা-পীরপুর সড়কের একাংশ সুরমা নদীর অব্যাহত ভাঙ্গনে তলিয়ে যাওয়ায় গত ২০আগষ্ট থেকে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে আট গ্রামের বিপুল সংখ্যক লোক মালামাল পরিবহনসহ যাতায়াতের ক্ষেত্রে চরম দূর্ভোগ পোহাচ্ছেন। ইতোমধ্যে মুক্তিরগাঁও, শিমুলতলা, হরিশপুর, পীরপুর, গৌরীপুরসহ বিভিন্ন গ্রামের প্রায় ৩শতাধিক বাড়ি-ঘর নদীতে তলিয়ে গেছে। আরো নদী ভাঙ্গনের আশংকায় প্রহর গুনছেন আরো অসংখ্য পরিবার। নদী তীরবর্তী এলাকা থেকে প্রায় আড়াইশ’ফুট দূরবর্তী এলাকায় ভাঙ্গন প্রভাবে গভীর গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে চরম হুমকির মূখে পড়েছে জামেয়া মোহাম্মদীয়া মাদরাসা, মুক্তিরগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সাবেক মেম্বার বসির উদ্দিনসহ পার্শ্ববর্তী অসংখ্য বাড়ি-ঘর। জানা যায়, ছাতক-মুক্তিরগাঁও-শিমুলতলা-পীরপুর সড়কে প্রত্যহ মুক্তিরগাঁও, শিমুলতলা, হরিশপুর, রংপুর, নানশ্রী, পীরপুর, গৌরীপুর ও মিত্রগাঁওসহ কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার তেলিখাল ও ইছাকলস ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের লোকজন যাতায়াত করেন। কিন্তু মুক্তিরগাঁও গ্রামের প্রবেশ মূখে সুরমা নদীর ভয়াবহ ভাঙ্গনে সড়কের একাংশ নদীতে ধেবে যাওয়ায় গত ২০আগষ্ট থেকে এ সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। ফলে এসব গ্রামের হাজার লোক যাতায়াতের ক্ষেত্রে চরম দূর্ভোগ পোহাচ্ছেন। এব্যাপারে কালারুকা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মুক্তিরগাঁও নিবাসী নজরুল হক, মুক্তিরগাঁও মুল্লাবাড়ির সাবেক মেম্বার সুলাইমান মিয়া, সাবেক মেম্বার আব্দুল নূরুল হক, আব্দুল মতিন, আরশ আলী, নূরুল ইসলাম, বর্তমান মেম্বার ফজলু মিয়া, আব্দুল মুকিত, ব্যবসায়ি মনোহর আলী, সাজিদুর রহমান, আরব আলী, ভূতু দাস, জওহর লাল দাস, সফিক মিয়া, আব্দুস সালামসহ এলাকার গন্যমান্য লোকজন জানান, সুরমার ভয়াবহ ভাঙ্গনে সড়কটি ধেবে যাওয়ায় সড়ক যোগাযোগ এখন বন্ধ হয়ে পড়েছে। এখানে নদী ভাঙ্গনরোধের স্থায়ী কোন ব্যবস্থা না নিলে গ্রামের হাজারো পরিবার অব্যাহত নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়ে ভিটে-বাড়িসহ সর্বস্ব হারাতে পারে। তারা ছাতক-মুক্তিরগাঁও-গোরৗপুর সড়কের মুক্তিরগাঁও প্রবেশ মূখে সুরমা নদীতে ধেবে যাওয়া রাস্তা দ্রুত সংস্কার ও ভাঙ্গনরোধের স্থায়ী পদক্ষেপ গ্রহনের দাবি জানিয়ে বলেন, শুধু মুক্তিগাঁও গ্রামের প্রবেশ মূখেই নদী ভাঙ্গন নয়। আট গ্রামের কয়েক শ’পরিবার নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়ে ভিটে-বাড়ি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন। মুক্তিরগাঁও, শিমুলতলা, হরিশপুর, পীরপুর, গৌরীপুরসহ বিভিন্ন গ্রামের প্রায় ৩শতাধিক বাড়ি-ঘর নদীতে তলিয়ে গেছে। আরো ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে আরো অসংখ্য পরিবার। জনপ্রতিনিধিসহ এলাকাবাসী এসব পরিবারের পূনর্বাসনসহ সড়কটি নদী ভাঙ্গনরোধের স্থায়ী ব্যবস্থা নিতে সরকারের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন।